সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১

বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১

আমি নির্বাক চোখে দেখতাম—
আপনার গাল বেয়ে নিঃশব্দে গড়িয়ে পড়া, দু-ফোঁটা চোখের জল।
দেখতাম— 
জায়নামাজে আপনার পবিত্র স্নান! 

২৪/০৯/২১

মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১

আব্বা,

আমার জীবনের কাব্যগ্রন্থ।

শ্যাওলা পড়া খসখসে পাতার,

খায়েশ-হীন তুলতুলে হরফ।


আম্মা,

আমার অরচিত শ্রেষ্ঠ কবিতা। 


২১/০৯/২১

রবিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১

বই: বিস্রস্ত জর্নাল। লেখক: আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ।

জীবনের একটা পর্যায়ে এসে তিনি তাঁর দিনলিপিতে বলছেন- 

লিখতে শুরু করলাম ছিটেফোঁটা। অন্তত কয়েকটা বছর বেঁচে থাকা ভীষণ প্রয়োজন।  মস্তিষ্কের খাঁজে খাঁজে লেলিহান আগুনের মতো অজস্র শব্দের গনগনানি।  অন্তত তিন-চার হাজার পৃষ্ঠা না লিখতে পারলে কিছুই জানিয়ে যাওয়া হবে না। 
- ৭.১১.৮৭



বই: বিস্রস্ত জর্নাল। 
লেখক: আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ।
প্রকাশক: মফিদুল হক, সাহিত্য প্রকাশ। 
ক্যাটাগরি: জীবনী ও স্মৃতিকথা।  

**
আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। তিনি একজন শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও সমাজসংস্কারক। তার জীবনের উল্লেখযোগ্য কীর্তি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। যা চল্লিশ বছরেরও বেশি ধরে  ‘আলোকিত মানুষ’ তৈরি করে যাচ্ছে। এই মানুষটাকে আমি টেলিভিশনের উপস্থাপক হিসেবে প্রথম পাঠ করি। তারপর, তাঁর আত্মজীবনী 'আমার বোকা শৈশব' পড়ি। তারপর একে একে ভাঙো দুর্দশার চক্র, আসীমের ভেলা, সংগঠন ও বাঙালি।  
এভাবেই লেখকের সাথে আমার পাঠের যাত্রা চলছে......... 

গত ১৩ দিনে শেষ করা বইটির নাম বিস্রস্ত জর্নাল। নাম-সাকিনহীন টুকরোটাকরা লেখা। তাঁর ব্যস্ত জীবনে নিয়মের বাইরে, মাঝেমধ্যে যে অপ্রত্যাশিত অবসর আসতো, সেখানের দুয়েক চিলতে মুহূর্ত নিয়েই সাজানো হয়েছে গোটা বইটি। পড়তে-পড়তে থমকে যেতে হয়েছে কয়েকবার। নিরালা অবসরে ভাবতে হয়েছে শূন্যতা'কে। এটাই টেক্সটের দারুণ পাওয়ার। 

১৮.০১.১৯৮৪ সালে এই জর্নালের যাত্রা শুরু। সমাপ্ত ১৯৯৪ সালে। প্রতিটি সরলবাক্যের যাত্রী আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ গড়গড় করে বলে যাচ্ছেন তাঁর জীবনের নানা দিক, উত্থান-পতন। তাঁর এই যাত্রার সঙ্গী আমিও। বইটি পাঠের সময়, প্রতিটি পাঠক এই যাত্রার সঙ্গী হবে নিঃসন্দেহে। 

বহুরূপী মানুষের কথা, তার ভেতরকার সৌন্দর্য আর কুৎসিতের বড়াই কিংবা লজ্জার সোজাসাপটা  স্বীকারোক্তি। অন্তর্গত দহন ও সত্যান্বেষণ। অগোছালো সংসার গুছিয়ে নেবার তাগিদ কিংবা ভালোবাসা নিয়ে তাঁর সুন্দর ভাবনা, সবেতেই ঠাসা।

আচমকা জন্ম-মৃত্যু কিংবা প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির অনুযোগের সারিতে দাঁড়িয়ে ভাবছেন দেশ, সমাজ আর সাহিত্যের অলিগলির ব্যাপারে। আবার মেয়ের 'আব্বু আসি' এমন বিদায়ও নাড়া দিচ্ছেন তাঁকে। 

কখনো শিক্ষক, কখনো দেশপ্রেমিক, কখনো সাধারণের চেয়ে সাধারণ আবার কখনো অমায়িক পিতা হিসাবে পাতায় পাতায় স্পষ্ট দেখতে পােলাম তাঁকে।  
আঁকছেন নিজের অভিমান, প্রেম, অনূভূতি, দায়িত্বের কষ্ট, শ্রম আর সাফল্যের উত্তেজনা। জগৎসংসার, সবই একটা জীবন-যাপন, সবই কেবল আমোদে-আল্লাদে বেঁচে থাকা। 

গোটা জর্নালটি এলোমেলো, সংক্ষিপ্ত তবে নিদারুণ গভীর, পাবেন জীবনের চরম সব স্বীকারোক্তি।  

**
জর্নাল থেকে প্রিয় কিছু টুকরো লেখা উল্লেখ করলাম। 

▪️বুদ্ধিমানেরা তর্ক করে, প্রতিভাবানেরা পৌঁছে যায়। (১৩.৩.৮৪) 

▪️কেন নিন্দা? কিসের জন্য? আমাদের ব্যক্তিগত অক্ষমতা? ঈর্ষা? অসাফল্য? শক্তিহীনতা?  অন্যের সফলতাকে সহ্য করতে পারার স্নায়বিক অক্ষমতা?  ব্যক্তিগত ব্যর্থতার বিকাশ-বিনাশী সহিংস প্রত্যাঘাত? (২৭.৬.৮৫)

▪️আজকের জন্য যা মর্মান্তিক, কালকের জন্যে তাই সর্বোচ্চ সতর্কতা। (২৮.১২.৮৬)

▪️বাঙালির স্বপ্ন গণতন্ত্র, কিন্তু সে স্বস্তি বোধ করে একনায়কতন্ত্রে। (৩০.৯.৮৮)

▪️যার দানের কথা অন্যে জানে, সে দেয় না, নেয়। (২৭৫নং)

▪️আজকের বাংলাদেশে বড় মানুষ তারাই, যারা মাঝে মাঝে বাংলাদেশে আসে। (২৭৬নং)

**
বি.দ্র: বিস্রস্ত জর্নাল, কেবল জর্নাল-ই। ভুল করেও কেউ উপন্যাস ভাববেন না। বইটিতে এই ব্যাপারে লেখকের চমৎকার একটি বর্ণনা আছে।

রবিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১

প্রত্যেকেরই 'যন্ত্রণা' থাকে, কারো কারো 'চিরযন্ত্রণা' থাকে।

১২/০৯/২০২১

রবিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১

নিজেকে বাচিয়ে রাখার জন্য, যান্ত্রিক এই কোলাহল থেকে মাঝেমধ্যে একটু নিরালা-যাপনে যেতে হয়। সব কিছু ছেড়েছুড়ে একেবারে নিজের কাছাকাছি থাকতে হয়। 

আমার কাছে এই উদযাপনটি মহাসুখের।
আমার কাছে এই উদযাপনটি আমোদ-ফুর্তির। 

নিয়মের বেড়াজালে আটকে যাওয়া আমি, আমাকে মিস করছিলাম খুব। তাই বিগত কিছুসময়, কাজ-পড়াশোনা, ইতিহাস-দর্শন, আলোচনা-সমালোচনা, লেখালেখি সমস্ত কিছু থেকে দূরে ছিলাম। বলা যায়, এ্যা শর্ট ব্রেক ফর্ম এ্যাভরিথিং। 

আরামসে ভোর দেখেছি, মানুষের চোখ দেখেছি। পথেঘাটে থেমে মানুষের যাপিত জীবন দেখেছি। নির্জনে আসমানের সাথে আলাপ করেছি তবে নোট রাখি নি। সময়-অসময়ে প্রিয়দের প্রচণ্ড মিস করেছি। আমার 'আমি'কে খুব কাছ থেকে ফিল করেছি। যখন মন যেখানে ছুটার, ছুটেছি, বরাবর টাট্টুঘোড়ার মতোই ছুটেছি। এসব বেচে থাকারই রসদ। এই রসদ, চড়া দামেও কোথাও মিলবে না।  

আম্মা প্রায়ই বলতেন, নিজের সুখের উপকরণ 'নিজ' থেকেই সংগ্রহ করতে হয়।  


০৫/০৯/২১ 

রমজানে মী-টাইম, উই-টাইম বের করা খুব টাফ ছিলো। রমজানের একটা ব্যস্ততা তো থাকেই তার সাথে সাথে সবার অফিসের কাজের চাপ। সবমিলিয়ে আমরা একসাথে থাকলে...